Header Ads Widget

ঘটনার সূত্রপাত্র যেভাবে


বুধবার খাগড়াছড়িতে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় মো. মামুন নামের এক যুবক গণপিটুনীর শিকার হন। পরে সে মারাও যান।

এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর দীঘিনালা কলেজ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি দীঘিনালার লারমা স্কয়ার পর্যন্ত গেলে সেখানে হামলা হয় বলে অভিযোগ বাঙালি ছাত্রদের।

বাঙালি ছাত্র তাইফুল ইসলামের অভিযোগ, “এই মিছিলের ওপর হামলা পাহাড়িরা হামলা চালায়। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।”

দীঘিনালার কয়েকজন বাঙালি অভিযোগ করে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে পাহাড়িদের কেউ কেউ হঠাৎই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে গুলি চালাতে শুরু করে। যে কারণে আরো বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে বাঙালিরা।

তবে পাহাড়িদের অনেকে অভিযোগ করে বলেছেন, বাঙালি ছাত্রদের মিছিলটি ছিল উস্কানিমূলক যেটি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।

মিনতি চাকমা নামের লারমা স্কয়ার বাজারের এক দোকানি বিবিসি বাংলাকে বলেন, “যে সময় গন্ডগোল চলছিল, তখন মজসিদের মাইক ব্যবহার করে বলা হয়েছিল পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা বাঙালিদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এরপরই ভাঙচুর শুরু হয়।”

স্থানীয়দের ধারণ করা বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজ রয়েছে বিবিসি বাংলার কাছে। তাতে আগুন ও দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা দেখা যায়।

দোকানে আগুন কারা দিয়েছে সেটি নিয়ে কোনো পক্ষই প্রকাশ্যে কিছু বলতে রাজি হননি।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই বাজারের কেউ কেউ বিবিসি বাংলার কাছে অভিযোগ করে বলেছেন, সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ বাঙালিদের কেউ কেউ তিন চারটি দোকান ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

উপজেলা প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী দীঘিনালার লারমা স্কয়ার বাজারের ওই ভয়াবহ আগুনে অন্তত ১০২টি দোকান পুড়েছে। যার মালিকানা রয়েছে বাঙালি ও পাহাড়ি উভয়ের। See More 

Post a Comment

0 Comments